শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর :

মহেশখালী উপকূলীয় বনবিভাগের আওতাধীন গুরোকঘাটা রেঞ্জের চৌফলদন্ডী বিট কর্মকর্তার ননস্টপ চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারন।ফলে যে কোন মুহুর্তে সংঘাত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের সাথে। তার এহেন আচরণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও সুফল পায়নি স্থানীয় জনগণ। যার কারনে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্য ও সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,উক্ত অসাধু বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম যোগাযোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়ে।স্থানীয় বনদস্যুদের সাথে যোগসাজশ এবং সংখ্যতা গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত প্যারাবন উজাড় করে আসলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে।ফার্নিচার, গাছ,বাঁশ বাহী পরিবহন আটকিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাঁদা।চাঁদা আদায় করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে রক্ষা পান এ অসাধু বন কর্মকর্তা।সরকারী দায়িত্ব যথাযত পালন না করে স্থানীয় দালাল চক্রের আড্ডা দেয় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যক্তি।তারা আরো জানান,উপকুল রক্ষার বদলে ধ্বংসে নেমে লুটপাট করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।বলতে গেলে সম্পদ রক্ষায় কোনধরনের ফুসরত নেই এই উপকূলীয় বনবিট অফিসার ও ফরেষ্টগার্ড কর্তাদের। এদের বিরুদ্ধে তড়িৎ আইনি ব্যবস্থা না নিলে সদরের খুরুস্কুল,চৌফলদন্ডী,পোকখালীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অবশিষ্ট উপকুলীয় সম্পদ নিমিষেই উজাড় হয়ে যাবে। চৌফলদন্ডী বাজারস্থ এক মহিলা দোকানী ফাতেমা বেগম প্রকাশ মুইশখাইল্লা নানী জানান, কয়েক দিন আগে তার এক নিকট আত্বীয়ের বিয়ের ফার্নিচার দিতে গেলে চৌফলদন্ডী ব্রিজের উপর গাড়ী থামিয়ে বনবিট অফিসার (মিয়াসাব) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো ২/৩ জন ফরেষ্টগার্ড পরিচয় দিয়ে এক হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা না দিলে বন মামলায় দিয়ে চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করলে ঐ মহিলা ভয়ে ১ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। বাজার এলাকার নুরুল আজিম জানান, বাড়ীর জন্য একটা গাছের টুকরো কিনেছি তাতেও আমার ৩শ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে।এছাড়া চোরাই কাঠ দিয়ে তৈরী করা ফিশিং বোট তৈরী করতেও সহযোগিতা করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান,স্থানীয় এক প্রভাবশালী ফখরুদ্দীন প্রকাশ ফকু বহদ্দারের তৈরীকৃত একটি ফিশিং বোট থেকে বিভিন্ন অযুহাতে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চৌফলদন্ডী উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে মহিলা থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল ৩ দিন পর তা ফেরত দিতে চাইলে নেননি বলে জানায় । অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না। সব কিছু ম্যানেজ করে করছি বলে মন্তব্য করেন। স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।